Glories of India

ব্রিটিশরা হঠাৎ করেই কেন ভারত ছেড়ে পালিয়ে গেল?

১. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ব্রিটেন দেউলিয়া

যুদ্ধ শেষে ব্রিটেনের অর্থনীতি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল।
ভারত তাদের কাছে সম্পদ নয়, বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সাম্রাজ্য চালানোর ক্ষমতা ও ইচ্ছা—দু’টোই হারিয়েছিল তারা।

২. বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে

  • গান্ধীর ভারত ছাড়ো আন্দোলন” (১৯৪২) ব্রিটিশ প্রশাসনের ভিত নাড়িয়ে দেয়।
  • সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ জনগণের মনে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
  • ১৯৪৬ সালের নৌবাহিনী বিদ্রোহে, হাজার হাজার ভারতীয় নাবিক অস্ত্র তুলে নিয়েছিল।
  • ব্রিটিশরা বুঝেছিল—সামরিক বাহিনীও আর তাদের পক্ষে নেই।

২. হরাইজন সমস্যা – সমান তাপমাত্রা কেন?

দূরবর্তী অঞ্চলগুলির তাপমাত্রা কীভাবে একই রকম? ইনফ্লেশন থিয়োরি এক সম্ভাবনা দিলেও এটি যাচাই হয়নি। ভারতীয় দর্শনে এই সাম্যতা ঋত বা কসমিক অর্ডারের অংশ।

৩. ফ্ল্যাটন

৩. লোককথা ও নামের ব্যুৎপত্তি:

  • সিক্রি” শব্দটি সংস্কৃতি বা ধ্যানসংক্রান্ত নাম থেকে এসেছে।
  • এটি ছিল প্রাচীন শিক্ষাকেন্দ্র ও সাধন ভূমি।

৪. আকবরের প্রকৃত ভূমিকা:

  • আকবর পুরনো কাঠামো হরণ করে নিজ নামে প্রচার করেন।
  • এটি মুঘলদের সাধারণ কৌশল ছিল — অন্যের কীর্তি নিজের নামে চালানো।

📖 কেন ইতিহাস বদলানো হলো?

  • ঔপনিবেশিক ঐতিহাসিকরা ভারতের গৌরবময় ইতিহাসকে ঢেকে দেয়ার জন্য এসব করেছিল।
  • ফাটল ধরানো হয়েছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদে।

🕉️ ভারতীয় ধর্মগ্রন্থে কি আছে?

  • বহু ধর্মগ্রন্থে সিক্রিকে সাধু-সিদ্ধদের বাসস্থান বলা হয়েছে।

🔥 উপসংহার:

ফতেহপুর সিক্রি ছিল ভারতের গর্ব — আকবর তা নির্মাণ করেননি, শুধু নামমাত্র দখল করেছিলেন।

সমস্যা – এত নিখুঁত শুরু?

মহাবিশ্বের এত নিখুঁত সমতলতা কি কাকতালীয়? নাকি এটি এক অন্তর্নিহিত সুষম শক্তির প্রতিফলন, যেমন ভারতীয় দর্শনে বলা হয়েছে?

৪. ডার্ক ম্যাটার এনার্জি – ৯৫% অজানা!

আমাদের মহাবিশ্বের অধিকাংশ অংশ অজানা পদার্থ ও শক্তির উপর নির্ভরশীল—যাদের অস্তিত্ব এখনও ধরা পড়েনি। ভারতীয় দর্শনে সূক্ষ্ম শক্তি ও চেতনার ভূমিকা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ।

৫. প্রাচীন গ্যালাক্সির আগমন – সময়রেখার বিপরীত?

শুরুতেই বিশাল ও পরিপক্ব গ্যালাক্সির সন্ধান—এটা কি প্রমাণ করে না যে মহাবিশ্ব আরও পুরাতন ও বিস্তৃত, যেমন বলা হয়েছে ভারতীয় कल्प-এর ধারণায়?

পশ্চিমের মনোভাব – চক্র নয়, শুরু খোঁজা

বিগ ব্যাং একক শুরুয়াতের ধারণা দেয়, যা খ্রিস্টীয় সৃষ্টিতত্ত্ব ও পাশ্চাত্য ইতিহাসে স্বাভাবিক। কিন্তু ভারত এক চিরন্তন ও সচেতন মহাবিশ্বের কথা বলে। এই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব কি সেই গভীর জ্ঞানকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা?

ভারতের চিরন্তন তত্ত্ব – আরেকটি মহাজগৎ দর্শন

  • সৃষ্টির চক্র: कल्प, যুগ, প্রলয়—এই চক্রে মহাবিশ্ব অবিরত সৃষ্টি ও ধ্বংস পাচ্ছে।

     

  • অদ্বৈত দর্শন: ব্রহ্ম হল চেতন রূপে সর্বত্র বিরাজমান, যেখানে ভৌত সৃষ্টি একপ্রকার লীলা।

     

  • সব কিছু একত্রে যুক্ত: বসুধৈব কুটুম্বকম—এই ভাবনা মহাবিশ্বের অভিন্নতার উপস্থাপন।

     

উপসংহার – এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির দরকার

বিগ ব্যাং সব প্রশ্নের উত্তর নয়। তার সীমাবদ্ধতা ও প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে আমরা প্রাচীন ভারতীয় দর্শনের প্রতি নতুন করে তাকাতে পারি। চক্রাকারে বয়ে চলা এই মহাজগতের কথা আমাদের গ্রন্থে বহু আগেই লেখা হয়েছে।