Glories of India

ডারউইনের প্রতারণা: বিবর্তনের মিথ ও ভারতের গৌরবময় অতীতের অবমূল্যায়ন

প্রস্তাবনা: বিজ্ঞান নয়, এক মহা বিভ্রান্তি

চার্লস ডারউইনের “অর্গানিক ইভল্যুশন থিয়োরি” বহুদিন ধরে বিজ্ঞান হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এটা যদি বিজ্ঞান না হয়ে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কল্পনা হয়? যদি এটা সত্যিই মানুষকে অজ্ঞ করে তোলার এক উপায় হয়ে থাকে?

এই তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ এককোষী অ্যামিবা থেকে শুরু করে মাছ, সরীসৃপ, বানর, গুহাবাসী আদিম মানব হয়ে বর্তমান রূপ পেয়েছে। কিন্তু ভারতের প্রাচীন সভ্যতা প্রমাণ করে মানুষ ৫০০০ বছর আগেই সুসভ্য ও উন্নত ছিল।

তাহলে প্রশ্ন উঠছে—এই ডারউইন তত্ত্বকে শিক্ষা ব্যবস্থায় ঢুকিয়ে দিয়ে আসলে কার স্বার্থ পূরণ হয়েছে?

বিবর্তন নয়, অধঃপতনের ইতিহাস

যদি মানুষের বিবর্তন সত্যিই ঘটে থাকে, তাহলে রামায়ণ-মহাভারতের প্রযুক্তি, বৈদিক গণিত, চিকিৎসা, নগর পরিকল্পনা—এসব এত উন্নত কিভাবে ছিল?

উত্তর একটাই—ডারউইনের তত্ত্ব আংশিক সত্য ও প্রচণ্ড বিভ্রান্তিকর। ভারত কখনোই আদিম ছিল না। বরং সে ছিল বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী ও উন্নত সভ্যতা।

ডারউইনবাদের মাধ্যমে ভারতীয়দের শেখানো হয়েছে—তোমরা বানরজাত, পশুর মতো, এবং উন্নতির জন্য পশ্চিমের উপর নির্ভর করতে হবে।

পশ্চিমা উদ্দেশ্য: ভারতীয় মনকে দাস বানানো

ব্রিটিশরা শুধু ভারতের ভূখণ্ড দখল করেনি, বরং মন ও চেতনার উপর শাসন কায়েম করেছিল। এজন্য ইতিহাসকে পাল্টানো ছিল অত্যাবশ্যক।

ডারউইনবাদের মাধ্যমে, ভারতের যুবসমাজকে শেখানো হয়েছে তাদের পূর্বপুরুষেরা অসভ্য ছিল, ধর্ম একটি কুসংস্কার এবং সভ্যতা এসেছে পশ্চিম থেকে।

এই চিন্তাধারা সরাসরি ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা ও আত্মবোধের বিপরীত।

বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব না, অনুমান নির্ভর হাইপোথেসিস

ডারউইনের তত্ত্ব কখনোই নির্ভুলভাবে প্রমাণিত হয়নি:

  • বানর থেকে মানুষের কোনও নিশ্চিত ফসিল লিঙ্ক পাওয়া যায়নি।
  • জিনের পরিবর্তনে (Mutation) কার্যকর বিবর্তনের প্রমাণ নেই।
  • ‘Natural Selection’ টিকে থাকার ব্যাখ্যা দেয়, কিন্তু সৃষ্টি ব্যাখ্যা করে না।
  • ডারউইন নিজেও নিজের তত্ত্বের দুর্বলতা স্বীকার করেছিলেন।

তবুও এই তত্ত্বকে শিক্ষা বইয়ে সত্য হিসেবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে—কারণ এটি উপনিবেশবাদীদের জন্য ছিল খুবই কার্যকর।

মানসিক প্রভাব: মানুষকে পশুতে রূপান্তর

ডারউইনবাদ মানুষের আত্মার মহিমা ও আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যকে অস্বীকার করে। এটি বলে মানুষ একটি রাসায়নিক দুর্ঘটনার ফল।

এই চিন্তাধারা:

  • আত্মসম্মান নষ্ট করে।
  • নৈতিকতা ও ধর্মীয় চেতনা ধ্বংস করে।
  • মানুষকে হতাশ, দিশাহীন ও আত্মকেন্দ্রিক করে তোলে।
  • সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টি করে।

যখন মানুষ ভাবে সে শুধু “উন্নত বানর”, তখন সে কেন নীতি মেনে চলবে? কেন সাধনা করবে?

আধ্যাত্মিক সত্য বনাম জীববৈজ্ঞানিক কল্পনা

ভারতীয় দর্শন বলে: অহম ব্রহ্মাস্মি”—আমি ব্রহ্ম।

ডারউইন বলে: তুমি আকস্মিকভাবে তৈরি হওয়া একটি রাসায়নিক মিশ্রণ।”

উপনিষদে বলা হয়েছে আত্মা চিরন্তন, এবং জীবন পুনর্জন্মের মাধ্যমে মোক্ষের দিকে এগিয়ে যায়। ডারউইনবাদ এই চিরন্তন সত্যকে প্রতিস্থাপন করেছে জৈবিক অন্ধতার মাধ্যমে।

ভারতের গৌরবময় সভ্যতা: ডারউইনবাদের সম্পূর্ণ বিপরীত

ইন্দাস উপত্যকার নগর পরিকল্পনা, বৈদিক গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, আয়ুর্বেদ, উড়ন্ত যান—এইসব প্রাচীন জ্ঞান ডারউইন তত্ত্বের মুখে চপেটাঘাত।

যদি মানুষ আদিম গুহাবাসী হতো, তাহলে ৫০০০ বছর আগে এই উন্নত প্রযুক্তি, শিল্প ও জ্ঞান কোথা থেকে এলো?

এটা প্রমাণ করে, আমরা উন্নতি করিনি—আমরা অধঃপতনের শিকার হয়েছি।

ডারউইনের নিজের সন্দেহ

ডারউইন নিজেই পরে বলেছিলেন:

  • জীবের হঠাৎ উৎপত্তি ব্যাখ্যা করা যায় না।
  • চেতনার উত্পত্তি ব্যাখ্যা অসম্ভব।
  • বিবর্তনের মধ্যে প্রচুর ফাঁক রয়েছে।

তবুও তার তত্ত্বকে বৈজ্ঞানিক বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে—কারণ এতে ভারতীয় ভাবধারাকে অস্বীকার করা সহজ হয়।

ভবিষ্যতের পথ: ভারতের শিক্ষায় ভারতীয়তা ফেরানো

ভারতকে চাই ডারউইনবাদ মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।

  • গীতা, উপনিষদ, বেদ পড়ানো হোক।
  • আত্মা, ধর্ম, কর্ম ও মোক্ষ সম্পর্কে শেখানো হোক।
  • শিশুদের শেখানো হোক যে তারা দেবতাদের সন্তান, পশুদের নয়।

উপসংহার: ডারউইনবাদ মানসিক উপনিবেশ

ডারউইনবাদ এক বিষাক্ত ধারণা—যা ভারতের গৌরব, ধর্ম ও সভ্যতা ধ্বংস করেছে।

এখন সময় এসেছে এই মিথ্যা তত্ত্ব থেকে মুক্তিরসত্যকে তুলে ধরা দরকার—যেখানে মানুষ পশু নয়, এক চিরন্তন আত্মা।

GloriesOfIndia.org হোক সেই প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে ভারত আবার আত্মজ্ঞান ও গৌরবের পথে যাত্রা শুরু করে।