Glories of India

তাজমহল না তেজো মহালয়? ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতারণা উন্মোচিত!

ভূমিকা: প্রেমের নামেই কি প্রতারণা?

তাজমহল – এক স্বর্গীয় প্রেমের নিদর্শন। অন্তত আমাদের সেটাই শেখানো হয়েছে। কিন্তু, ইতিহাসবিদ পি. এন. ওক দাবি করেছেন যে এটি কোনো প্রেমের স্মারক নয়, বরং এটি এক প্রাচীন শিব মন্দির যার নাম ছিল ‘তেজো মহালয়’

এই মন্দিরটি নাকি আগ্রার রাজা পরমর্দি দেব (পরবর্তী সময়ে তার বংশধর রাজা জয় সিংহ) তৈরি করেছিলেন। পরে মুঘল সম্রাট শাহজাহান জোরপূর্বক এটি দখল করে তার স্ত্রীর কবর রূপে ব্যবহারের জন্য সাজিয়ে তোলে।

‘তাজমহল’ নামটির পেছনের রহস্য

  • ‘তাজমহল’ শব্দটি কোনো মুঘল দস্তাবেজে নেই, এমনকি শাহজাহান বা আওরঙ্গজেবের সময়েও নয়।

  • “মহল” শব্দটি ইসলামি ঐতিহ্যে ব্যবহৃত হয় না। এটি একেবারেই সংস্কৃত ভিত্তিক শব্দ।

  • মমতাজের প্রকৃত নাম ছিল ‘মমতাজ-উল-যামানী’, তাই ‘তাজমহল’ নামটি তার নাম থেকে আসেনি। ‘তাজ’ এবং ‘মহল’ – উভয়ই হিন্দু ঐতিহ্যের অংশ।

মুঘল দলিলেই সত্য লুকিয়ে আছে

  • বদশাহনামা-তে (ভলিউম ১, পৃষ্ঠা ৪০৩) স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে শাহজাহান রাজা জয় সিংহ-এর কাছ থেকে এক বিশাল প্রাসাদ নিয়ে সেখানে মমতাজের কবর তৈরি করেন।

  • আওরঙ্গজেবের চিঠি (১৬৫২ সালে) শাহজাহানের কাছে লেখা – তাতে বলা হয়েছে, ভবনটি পুরানো, তাতে ফাটল ধরেছে, ও জায়গায় জায়গায় ছাদ টপকাচ্ছে। যদি তাজমহল সত্যিই ১৬৩১ সাল থেকে তৈরি শুরু হতো, তাহলে ২১ বছরের মধ্যে কি এটি এত পুরানো হয়ে যেত?

মন্দিরের বৈশিষ্ট্য — স্থাপত্য বলছে সত্য

তাজমহলের অনেক বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে এটি একটি হিন্দু মন্দির ছিল:

  • গম্বুজে ত্রিশূল – শিবের প্রতীক।

  • প্রধান গেটের ওপরে ‘ওঁ’ চিহ্ন

  • মার্বেল জালির উপর খোদাই করা ১০৮টি কলস – হিন্দু ধর্মে পবিত্র সংখ্যা।

  • নিচে সিল করা ঘর – অনেক সময়ে লোকজন সেখানে প্রাচীন মূর্তি ও শিবলিঙ্গ দেখেছেন বলে দাবি করেছেন।

  • অভ্যন্তরে গেস্ট হাউজ, বাগান, ঝরনা, টাওয়ার, জলাশয়, প্রতিরক্ষামূলক দেয়াল – একটি প্রাসাদ বা মন্দিরের বৈশিষ্ট্য, কবরের নয়।

জুতো খোলা – কবর না মন্দির?

তাজমহলে ঢোকার আগে জুতো খোলার প্রথা হিন্দু মন্দিরের রীতি, ইসলামি কবরস্থানে এমন কোনো নিয়ম নেই। এর মানে, এই প্রথার শিকড় মুঘল পূর্ব যুগে

তাজমহল = ১২ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি?

পিএন ওক দাবি করেছেন, তাজমহল ছিল নাগনাথেশ্বর মহাদেব মন্দির, যা আগ্রার আগ্রেশ্বর মহাদেব নামে পরিচিত ছিল। এটি সম্ভবত ভারতের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ-এর একটি ছিল।

সমাজে বেঁচে থাকা প্রমাণ

আগ্রার হিন্দু বাসিন্দারা প্রাচীনকাল থেকে প্রতি রাতে খাবারের আগে পাঁচটি শিব মন্দিরে প্রণাম করতেন। কিন্তু কয়েক শতাব্দী ধরে তারা শুধু চারটি মন্দির চেনে। পঞ্চম মন্দির ছিল তেজো মহালয় – আজকের তাজমহল।

তথ্য যা গোপন করা হয়েছে

  • ASI (আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) এখনো পর্যন্ত ২২টি সিল করা কক্ষ খুলতে অস্বীকার করেছে

  • অনেক পুরাতত্ত্ববিদ দাবি করেছেন, সেখানে প্রাচীন শিবলিঙ্গ, সংস্কৃত শিলালিপি, এবং ভাস্কর্য রয়েছে যা প্রকাশ করলে সত্য বেরিয়ে পড়বে।

কেন এই ইতিহাস চাপা পড়েছে?

ব্রিটিশরা এবং পরবর্তী সময়ে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ভারতের গৌরবময় হিন্দু অতীতকে চাপা দিতে চেয়েছেন। তাজমহলকে এক প্রেমের নিদর্শন বলে চিত্রিত করা ছিল ঔপনিবেশিক উদ্দেশ্য এবং সাংস্কৃতিক মনোবল ধ্বংসের কৌশল

উপসংহার: প্রেমের মন্দির না প্রতারণার প্রতীক?

তাজমহল যদি আসলে তেজো মহালয় হয়, তাহলে এটি শুধু একটি স্মৃতিস্তম্ভ নয় — এটি ভারতের আত্মপরিচয়, ইতিহাস ও সংস্কৃতির পুনরুদ্ধার। এখন সময় এসেছে:

  • ২২টি বন্ধ ঘর খুলুন

  • পূর্ণাঙ্গ প্রত্নতাত্ত্বিক তদন্ত করুন

  • ভারতের প্রকৃত ইতিহাস ফিরিয়ে দিন