তাজমহল – এক স্বর্গীয় প্রেমের নিদর্শন। অন্তত আমাদের সেটাই শেখানো হয়েছে। কিন্তু, ইতিহাসবিদ পি. এন. ওক দাবি করেছেন যে এটি কোনো প্রেমের স্মারক নয়, বরং এটি এক প্রাচীন শিব মন্দির যার নাম ছিল ‘তেজো মহালয়’।
এই মন্দিরটি নাকি আগ্রার রাজা পরমর্দি দেব (পরবর্তী সময়ে তার বংশধর রাজা জয় সিংহ) তৈরি করেছিলেন। পরে মুঘল সম্রাট শাহজাহান জোরপূর্বক এটি দখল করে তার স্ত্রীর কবর রূপে ব্যবহারের জন্য সাজিয়ে তোলে।
তাজমহলের অনেক বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে এটি একটি হিন্দু মন্দির ছিল:
তাজমহলে ঢোকার আগে জুতো খোলার প্রথা হিন্দু মন্দিরের রীতি, ইসলামি কবরস্থানে এমন কোনো নিয়ম নেই। এর মানে, এই প্রথার শিকড় মুঘল পূর্ব যুগে।
পিএন ওক দাবি করেছেন, তাজমহল ছিল নাগনাথেশ্বর মহাদেব মন্দির, যা আগ্রার আগ্রেশ্বর মহাদেব নামে পরিচিত ছিল। এটি সম্ভবত ভারতের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ-এর একটি ছিল।
আগ্রার হিন্দু বাসিন্দারা প্রাচীনকাল থেকে প্রতি রাতে খাবারের আগে পাঁচটি শিব মন্দিরে প্রণাম করতেন। কিন্তু কয়েক শতাব্দী ধরে তারা শুধু চারটি মন্দির চেনে। পঞ্চম মন্দির ছিল তেজো মহালয় – আজকের তাজমহল।
ব্রিটিশরা এবং পরবর্তী সময়ে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ভারতের গৌরবময় হিন্দু অতীতকে চাপা দিতে চেয়েছেন। তাজমহলকে এক প্রেমের নিদর্শন বলে চিত্রিত করা ছিল ঔপনিবেশিক উদ্দেশ্য এবং সাংস্কৃতিক মনোবল ধ্বংসের কৌশল।
তাজমহল যদি আসলে তেজো মহালয় হয়, তাহলে এটি শুধু একটি স্মৃতিস্তম্ভ নয় — এটি ভারতের আত্মপরিচয়, ইতিহাস ও সংস্কৃতির পুনরুদ্ধার। এখন সময় এসেছে: