Glories of India

যীশু ভারতে বাস করতেন: আমার গভীর গবেষণার বিস্ময়কর আবিষ্কার

ঈশ্বরের পুত্রের অজানা সফর

ইতিহাস প্রায়ই অসম্পূর্ণ থাকে। বাইবেলে যীশুর ১৩ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত কোনো বিবরণ নেই। আমি যখন তিব্বতের হেমিস মঠ, কাশ্মীরের রোজাবল, ও প্রাচীন পাণ্ডুলিপির গবেষণা করলাম, তখন স্পষ্ট হয়ে গেল—তিনি ভারতে এসেছিলেন, জ্ঞান লাভ করেছিলেন এবং এখানেই শান্তিতে জীবন শেষ করেন।

হারিয়ে যাওয়া বছরগুলি

তিব্বতের পুরানো লিপিতে “ঈসা” নামে একজন যুবকের কথা লেখা আছে যিনি পশ্চিম থেকে এসেছিলেন। তিনি যোগ, আয়ুর্বেদ ও বৌদ্ধ দর্শনে প্রশিক্ষণ নেন। তাঁর শিক্ষা জীবনের সঙ্গে খ্রিস্টধর্মের বার্তা মিলে যায়।

ভারতে আত্মদর্শনের খোঁজে

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, কাশী এবং অন্যান্য স্থানে তিনি ভারতীয় দর্শন ও জীবনচর্চা শিখেছিলেন। তিনি সমাজের বৈষম্যের বিরোধিতা করেছিলেন।

ক্রুশবিদ্ধ হলেও মৃত্যু হয়নি

বাইবেল বললেও, বহু ইতিহাসবিদ মনে করেন যীশু বেঁচে ছিলেন। তাঁকে জড়িবুটি দিয়ে সুস্থ করা হয় এবং পরে তিনি ভারতে ফিরে আসেন।

রোজাবল—শেষ ঠিকানা

২০১৩ সালে আমি শ্রীনগরের রোজাবল সমাধি দর্শন করি। এটা পূর্ব-পশ্চিমমুখী, যা ইহুদি রীতি। স্থানীয়রা বলেন, এটি “ইউজ আসাফ” এর সমাধি—একজন মহান সত্যের প্রচারক। আমি গবেষক ড. ফিদা হাসনাইন-এর সঙ্গে দেখা করি, যিনি এই তথ্যের প্রমাণ দিয়েছেন।

সত্য লুকানো কেন?

কারণ এই সত্য মেনে নিলে খ্রিস্টধর্মের প্রথাগত ভিত্তি কেঁপে ওঠে। এতে বোঝা যায় খ্রিস্টীয় বার্তা ভারতের প্রাচীন জ্ঞান থেকে এসেছে।

পূর্ব ও পশ্চিমের মিলন

যীশুর ভারত সফর মানে ধর্মীয় সীমা মুছে যাওয়া। এক সার্বজনীন বার্তা—ভালবাসা, ক্ষমা ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। ভারত ও বিশ্বের মধ্যে এক অনন্ত সেতু তৈরি হয়