একটি যাত্রা যা আমার আত্মাকে বদলে দিল
২০১১ সালের সেই সফর ছিল আমার জীবনের এক গভীর পরিবর্তনের সূচনা। শ্রীনগরের অপার সৌন্দর্য্য ও শান্তির মাঝে আমি আবিষ্কার করলাম এমন একটি ঐতিহাসিক রহস্য, যা আজও গোপন রাখা হয়েছে—রোজাবল দরগাহ, যেখানে অনেকের মতে যিশু খ্রিষ্টের সমাধি রয়েছে।
আমি বহু বছর ধরে ইতিহাসের বিস্মৃত অধ্যায়, গোপন আধ্যাত্মিক তথ্য নিয়ে গবেষণা করেছি। কিন্তু রোজাবলে যা আমি দেখলাম, তা ছিল প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য—একটি চরম সত্যের প্রকাশ।
ডঃ ফিদা হাসনাইন – ইতিহাসের সত্য উদ্ঘাটক
আমার সফরের সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্ত ছিল ডঃ ফিদা মোহাম্মদ হাসনাইন–এর সঙ্গে সাক্ষাৎ। তিনি কাশ্মীরের আর্কাইভস, প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘরের প্রাক্তন পরিচালক ছিলেন এবং যিশুর ভারতে আগমন ও জীবন নিয়ে কয়েক দশক গবেষণা করেছেন।
তিনি আমাকে বহু প্রাচীন পারসিয়ান, আরবি দলিল ও স্থানীয় কিংবদন্তির রেফারেন্স দেখিয়েছিলেন, যা বলে দেয়—যিশু (পূর্বে যিনি “ইউজ আসাফ” নামে পরিচিত ছিলেন) ক্রুশ থেকে বেঁচে গিয়ে কাশ্মীরে আসেন, ধর্ম প্রচার করেন, এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।
রোজাবল দরগাহ – ইতিহাসের নিঃশব্দ সাক্ষ্য
আমি পুরনো শ্রীনগরের খানইয়ার এলাকায় হেঁটে রোজাবল দরগায় পৌঁছাই। বাইরে থেকে এটি ছোট ও সাধারণ, কিন্তু ভিতরে এক অলীক শক্তি অনুভব করলাম।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ছিল—সমাধিটি ছিল পূর্ব-পশ্চিমমুখী, যা ইসলামী রীতির (উত্তর-দক্ষিণ) পরিপন্থী। এই রীতি ইহুদি দাফনের রীতির সাথে মিলে যায়। যিশু একজন ইহুদি ছিলেন—এবং এই সত্য আমার চোখের সামনে প্রমাণিত হল।
📜 শুধুই তত্ত্ব নয়—এটি আমার প্রত্যক্ষ উপলব্ধি
অনেক গবেষক এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন:
কিন্তু বই পড়া আর নিজের চোখে দেখা—এ দুটি অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
✈️ প্রাচীন পথ ধরে পূর্বে আগমন
ডঃ হাসনাইন ব্যাখ্যা করেন যে যিশু সম্ভবত পারস্য, আফগানিস্তান, এবং তক্ষশীলা হয়ে কাশ্মীরে আসেন। এটি ছিল সিল্ক রোডের অংশ—যা প্রাচীন যুগে সাধক ও জ্ঞানপিপাসুদের পথ ছিল।
যেখানে বুদ্ধ পদচিহ্ন রেখেছিলেন, সেখানে যিশুও তাঁর চূড়ান্ত আশ্রয় খুঁজে পান।
🧬 প্রমাণ আছে—কিন্তু দুনিয়া ভয় পায়
অথচ এত প্রমাণ সত্ত্বেও আজও রোজাবল সমাধির খনন বা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষা হয়নি। কারণ এর সত্যতা প্রকাশ হলে পশ্চিমা ধর্মীয় কাঠামো হুমকির মুখে পড়বে।
তাহলে কি তাঁরা ইতিমধ্যেই সত্য জানেন, কিন্তু আমাদের থেকে গোপন রাখছেন?
👣 কাশ্মীরিদের মাঝে ইহুদি সংস্কৃতির ছায়া
আমার সফরের সময় আমি লক্ষ্য করি, কাশ্মীরিদের বহু ঐতিহ্য, রীতিনীতি, মুখাবয়ব ও খাদ্যাভ্যাস প্রাচীন ইহুদি জাতির সঙ্গে মিলে যায়। ডঃ হাসনাইন বিশ্বাস করতেন, কাশ্মীরিরা ইস্রায়েলের হারিয়ে যাওয়া গোত্রগুলির বংশধর।
🙏 আমার কাছে এটি আর কোনো তত্ত্ব নয়—এটি অখণ্ড সত্য
আমি নিজে সেখানে গিয়েছি, দেখেছি, অনুভব করেছি। আমি রোজাবলে সেই শক্তিকে অনুভব করেছি, সেই পবিত্রতা স্পর্শ করেছি।
যিশু ভারতে এসেছিলেন, কাশ্মীরে জীবনের শেষদিন কাটিয়েছিলেন এবং সেখানেই সমাধিস্থ হয়েছেন—এই বিষয়টি এখন আমার কাছে নিঃসন্দেহে সত্য।
এই সত্য শ্রীনগরকে বিশ্বের এক অনন্য তীর্থক্ষেত্রে রূপান্তর করতে পারে—যেখানে খ্রিস্টান, ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানীরা একত্র হতে পারেন। এভাবে ভারতের আধ্যাত্মিক মর্যাদা আরও উজ্জ্বল হবে।
🌍 পূর্ব ও পশ্চিমের মিলনসেতু
এই সত্য যদি প্রকাশ পায়, তবে যিশু হয়ে উঠতে পারেন পূর্বের আধ্যাত্মিকতা ও পশ্চিমের ধর্মতত্ত্বের সেতুবন্ধনকারী। বুদ্ধ ও খ্রিস্ট, হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে সেতু রচয়িতা।
তিনি ভারতে এসেছিলেন, এখানেই বাস করেছিলেন। আর এখন, হিমালয়ের কোলে চিরনিদ্রায় শয়ান।
রোজাবল শুধু একটি সমাধি নয়—এটি একটি সত্যের কবর, যা পুনরুজ্জীবনের অপেক্ষায় রয়েছে।