বাইবেল ১২ বছর বয়সের পর ঈসার জীবনের কথা বলে না। ঠিক ৩০ বছর বয়সে তিনি হঠাৎ আবির্ভূত হন। এই শূন্য ১৮ বছর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্য।
ভারত, আফগানিস্তান ও তিব্বতের লোককথা, পুঁথি এবং স্থানীয় ঐতিহ্য জানান দেয়—ঈসা এই সময়ে ভারতে ছিলেন, জ্ঞান অর্জনে।
২৪টি ধাপ ও শেখা বিষয়:
১. জেরুজালেম থেকে বাবেল
ধর্মীয় দার্শনিকতা ও পার্সি চিন্তাধারা অধ্যয়ন।
২. পারস্য (ইরান)
সুফি ধরনের ধ্যান ও আত্মিক প্রেম শিক্ষা।
৩. বালখ ও কন্ধাহার
গ্রিক-বৌদ্ধ সমন্বয়ে নির্মিত চিন্তাধারা ও করুণার ধারণা।
৪. সিন্ধু অঞ্চল
সাংস্কৃতিক ও আয়ুর্বেদ শিক্ষার সূচনা।
৫. উজ্জয়িনী
জ্যোতিষ, গণিত এবং ব্রহ্মাণ্ডের নিয়ম শেখা।
৬. পুরী
জৈন তপস্যা, অহিংসা ও ভক্তিবাদের শিক্ষা।
৭. অমরাবতী
বৌদ্ধ ধ্যান ও মহাযান দর্শনের চর্চা।
৮. কন্যাকুমারী
যোগসাধনা, সমুদ্রযোগে আত্মার বিশালতা উপলব্ধি।
৯. শ্রীলঙ্কা
সহানুভূতি ও সমবায়ের জীবনবোধ।
১০. কেরালা
নাড়ি-পারীক্ষা, ভেষজ চিকিৎসা ও প্রাণবিদ্যার পাঠ।
১১. মগধ
কর্ম, পুনর্জন্ম ও নির্বাণ দর্শনের অনুশীলন।
১২. বারাণসী
উপনিষদ ও গীতার জ্ঞান অর্জন।
১৩. রাজগৃহ
বুদ্ধের ধ্যানগুহায় প্রজ্ঞা লাভ।
১৪. কপিলাবস্তু
সিদ্ধার্থের জীবনে অনুপ্রেরণা খোঁজা।
১৫. লেহ – হেমিস মঠে ৫ বছরের ধ্যান
এই মঠে ঈসা পাঁচ বছর কাটান। এখানে তিনি শিখেছেন:
রাশিয়ান পর্যটক নিকোলাস নোটোভিচের তথ্যে ‘ঈসা’ নামে এক সাধুর উল্লেখ রয়েছে, যিনি এখানে থাকতেন।
১৬-২৪.
শিক্ষা ও প্রাপ্তি:
উপসংহার: এক ভারতীয় আত্মিক পুনর্জন্ম
ঈসা ভারতে জ্ঞান সঞ্চয় করেন, ফিরে গিয়ে বিশ্বকে প্রেম ও পরিত্রাণের শিক্ষা দেন। ভারত তাকে রূপান্তর করেছিল এক সাধারণ মানুষ থেকে মসীহ হয়ে উঠতে।