ভারত প্রাচীনকাল থেকেই জ্ঞান, সম্পদ এবং আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র ছিল। কিন্তু সপ্তম শতাব্দী থেকে শুরু হওয়া মুসলিম আক্রমণ এই ভূমিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।
আরব সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু আক্রমণ করে রাজা দাহিরকে পরাজিত করেন। ধর্মীয় জিহাদের নামে হিন্দুদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হয়।
মহম্মদ গজনভি ভারতে ১৭ বার আক্রমণ চালিয়ে সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেন। তার লক্ষ্য ছিল সোনা-দানা লুট ও ধ্বংস।
মুহাম্মদ গৌরি পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে দিল্লি সালতানত-এর ভিত্তি স্থাপন করেন। কুতুবউদ্দিন আইবক প্রথম সুলতান হন।
এই সময়ে পাঁচটি রাজবংশ শাসন করে। প্রচুর মন্দির ধ্বংস, হিন্দুদের উপর জিজিয়া কর, ও ধর্মান্তরণ ঘটে।
বাবর পানিপথে ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করেন। আউরঙ্গজেব হাজার হাজার মন্দির ধ্বংস করেন ও হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালান।
রাজা দাহির, মহারানা প্রতাপ, শিবাজি মহারাজ, গুরু গোবিন্দ সিং, ও রানী দুর্গাবতী ইতিহাসে তাদের স্থান নিশ্চিত করেন।
বাহাদুর শাহ জাফর নির্বাসিত হন এবং ইংরেজ শাসন শুরু হয়।
ভারতে মুসলিম শাসন ছিল একটি পরিকল্পিত ও ধাপে ধাপে গড়ে ওঠা প্রক্রিয়া। ইতিহাসের সত্যকে সামনে আনার এখনই সময়, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের গৌরবময় অতীত চিনে নিতে পারে।
আক্রমণ থেকে সাম্রাজ্য: ভারতে মুসলিম শাসনের কালপঞ্জি
📍 ৭১১ খ্রিষ্টাব্দ – আরবদের সিন্ধু আক্রমণ
📍 ১০০০–১০২৭ খ্রিষ্টাব্দ – মাহমুদ গজনভীর আক্রমণ
📍 ১১৯২ খ্রিষ্টাব্দ – দ্বিতীয় তরাইন যুদ্ধ
📍 ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দ – দিল্লি সালতানাতের স্থাপন
📍 ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দ – প্রথম পানিপথের যুদ্ধ
📍 ১৫২৬–১৭০৭ খ্রিষ্টাব্দ – মুঘল শাসনের বিস্তার
📍 ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দ – মুসলিম শাসনের অবসান