বানর ছিল আমাদের পূর্বপুরুষ — নাকি আজ আমরা বানর হয়ে যাচ্ছি?

৩৫ বছরের গবেষণার উপর ভিত্তি করে — গবেষক ও লেখক দিনেশ রাওয়াতের বিশ্লেষণ


১৫০ বছর ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে যে মানুষ নাকি বানর থেকে এসেছে। কিন্তু এই “বিজ্ঞান” কি আসলেই প্রমাণিত, নাকি এটি ব্রিটিশদের একটি উপায় ছিল ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার?

প্রচারিত মিথ্যার শিকড় – একটি উপনিবেশিক চক্রান্ত

উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশরা বিশ্বে আধিপত্য কায়েম করছিল। তারা ভারতের প্রাচীন সভ্যতা ও জ্ঞানকে মুছে দিতে চেয়েছিল।

তাদের উদ্দেশ্য ছিল:

  1. ভারতের গৌরবময় অতীতকে ঢেকে ফেলা

  2. বৈদিক জ্ঞানের চিহ্ন মুছে ফেলা

এ জন্যই জন্ম নেয় “ডারউইনবাদ”।

ডারউইনের তত্ত্ব – সত্য না কল্পনা?

ডারউইন বলেন, মানুষ বহু বছর ধরে ধীরে ধীরে বানর থেকে মানুষ হয়েছে। কিন্তু “নেব্রাস্কা ম্যান”, “জাভা ম্যান” প্রভৃতি যাদের প্রমাণ বলা হয়, তারা পরে ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।

তবুও, পাঠ্যবইয়ে এগুলো রয়ে গেছে।

আমরা কেন এত সহজে বিশ্বাস করি?

ছোটবেলায় শিক্ষক যা বলেন, শিশুরা সেটাই বিশ্বাস করে। বইয়ের ছবিতে বড় বড় বিজ্ঞানীদের নাম দেখে মনে হয় — এ তো অব্যর্থ সত্য!

প্রশ্ন করা হয় না। বিজ্ঞানের নামে যা বলা হয়, তাই আমরা বিশ্বাস করি।

ভারতের প্রাচীন সভ্যতা ছিল কত উন্নত!

ভারতের বেদ, উপনিষদ, আয়ুর্বেদ, যোগশাস্ত্র — এসব প্রমাণ করে যে মানুষ তখন বহু উন্নত ছিল। সেই মানুষদের বানরের সাথে তুলনা করা — ইতিহাসকে অপমান করা।

আজ আমরা কি পশুত্বে ফিরে যাচ্ছি?

👉 আত্মজ্ঞান হারিয়ে যাচ্ছে
👉 লোভ, হিংসা ও ভোগবাদ ছড়িয়ে পড়ছে
👉 নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ধ্বংস হচ্ছে

এই কি উন্নতি? নাকি পশুত্বের পথে ফিরে যাওয়া?

শেষ কথা:

এই ব্লগ শুধুমাত্র একটি প্রশ্ন তোলে নয়, এটি আমাদের আত্মপরিচয় নিয়ে ভাবায় —
আমরা দেবত্বের উত্তরাধিকারী, নাকি বানরের বংশধর?

সময় এসেছে নিজেদের প্রকৃত ইতিহাস ও সংস্কৃতি ফিরে পাওয়ার।

Join as a Research Volunteer or Social Media Ambassador!